গোপনে যেনা করলে দুনিয়াতেই ৩টি ভয়ঙ্কর শান্তি
যারা গোপনে যেনায় লিপ্ত হয়, তাদের শাস্তি আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতেই দেবেন। আখিরাতে তো শাস্তি হবেই, কিন্তু দুনিয়াতেও যেনা কারীর ভয়ঙ্কর শাস্তি হবে।
গোপনে যেনা করলে যে ৩টি বিপদ আসবেই
পোস্টসূচীপত্রঃআব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রাঃ) বলেন -" যখন কেউ যেনায় লিপ্ত হয়, আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতেই এদেরকে তিনটি শাস্তি দিবেন "
- মহামারী
- ভয়ঙ্কর রোগ
- দারিদ্রতা
১. মহামারী – যারা গোপনে যেনায় লিপ্ত হয়, এদের প্রথম শাস্তি হলো মহামারী। যেমন- কলেরা অথবা ডায়রিয়া বা এরকম রোগে আক্রান্ত হবে। এবং মহামারি হয়ে এরা মারা যাবে।
২. ভয়ঙ্কর রোগ – যারা গোপনে যেনাই লিপ্ত হবে, আল্লাহ তায়ালা কতৃক এদের দ্বিতীয় শাস্তি হলো- আল্লাহ তায়াআলা এদেরকে এমন ভয়ঙ্কর রোগ দিবেন যে রোগ পূর্বে যেনা কারীর কোনো আত্মীয় স্বজনের হয়নি। এমন রোগ দেবেন যে রোগে ধুকে ধুকে সে দুনিয়াতে মারা যাবে। যে রোগটা পূর্বে কারো হয়নি।
যেমন - এইডস। ১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া শহরে একজন সমকামীর শরীরে প্রথম ধরা পড়ে এইডস। পৃথিবীতে প্রতি বছর যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তাদের কোনো চিকিৎসা নেই।
৩. দারিদ্রতা – দুনিয়াতে যেনা কারীর তৃতীয় শাস্তি হলো দারিদ্রতা। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ভয়ংকর দারিদ্রতার মধ্যে ফেলে দেবেন। দিন দিন তার রুজি তে কোনো বরকত থাকবে না, বরকত উঠে যাবে।
যেনা থেকে বাচার ৫টি উপায়
- নিজের চোখকে সংযত করতে হবে।
- সকল প্রকার ফিতনা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
- কখনোই নারী পুরুষ একসাথে নির্জনে সময় কাটাবেন না।
- নেক্কার ব্যক্তির সান্নিধ্যে থাকার চেষ্টা করবেন।
- যেনার যে ভয়াবহতা, সেগুলোর কথা চিন্তা করতে হবে।
যেনাকারী কিভাবে তওবা করলে মাফ পাবে
সূরা নূর এর ১-৩ নং আয়াতে বলা আছে, " অবিবাহিত যুবক যুবতীরা কেউ যদি যেনা করে, তাহলে তাদের শাস্তি হচ্ছে- জনসম্মুক্ষে ১০০ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন "
অনতিবিলম্বে অজু করে শেষ রাতে জায়নামাজ বিছিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়বে, সেজদায় গিয়ে নিজের পাপের কথা স্মরণ করে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর কাছে মাপ চাইতে হবে। আল্লাহর কাছে মাপ চাওয়ার পর দ্বিতীয় বার এই পাপ আর করা যাবে না।
আর, বিবাহিত নারী পুরুষ যদি যেনা করে তাহলে তওবা করলেও তাদের শাস্তি দুনিয়াতে মাপ হবে না।
এখানে কমেন্ট করুন
comment url