ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং কী? What is Freelancing? 

Freelancing = Free + Lancing 

Free = মুক্ত / স্বাধীন 
Lancing = কার্য সম্পাদন করা 
Freelancing = স্বাধীনভাবে কাজ করা




পোস্টসূচীপত্রঃ
অন্যের জন্য নিজে কাজ করা হলো ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) 

আউটসোর্সিং কী? What is Outsourcing? 


Outsourcing = Out + Sourcing 

Out = বাহির

Sourcing = কোথাও থেকে কিছু বের করে আনা 

Outsourcing = বাহির থেকে কোনো কাজ করিয়ে আনা 

নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করানো হলো আউটসোর্সিং (Outsourcing) 


অনলাইন জগতে ফ্রিল্যান্সিং মানে আসলে কী?


অনলাইনে মার্কেটপ্লেস থাকে। মার্কেটপ্লেসে দুই ধরনের লোক থাকে - Client, Freelancer. ক্লায়েন্টরা মার্কেটপ্লেসে এসে কাজের বিজ্ঞপ্তি দেন, আর ফ্রিল্যান্সাররা তাদের স্কিল দিয়ে সেই কাজ সম্পাদন করেন। বিনিময়ে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পারিশ্রমিক নেন। যেহেতু এই পুরো প্রক্রিয়াটা মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে হচ্ছে, এজন্য মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সারের পারিশ্রমিক থেকে একটা অংশ কেটে নেয়।


বাংলাদেশে কতজন ফ্রিল্যান্সার আছে? 


Oxford Internet Institute এর তথ্যমতে বিশ্বে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা -

অর্থাৎ, ২০২১ সাল  – ৭ লক্ষ ৫০ হাজার জন প্রায়
২০২১-২০২৪ পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বাড়তে পারে ২০%
অর্থাৎ, ২০২৪ সাল – ৯ লক্ষ জন প্রায়

২০১৭ সাল – ৬ লক্ষ ৫০ হাজার জন প্রায় 

২০১৭-২০২১ পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা বেড়েছে ১৫% 


কতজন অ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সার? 


অ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সার বলতে আসলে কি বুঝায়? 

আমরা দেখেছি মার্কেটপ্লেসে প্রায় ৯ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। ৯ লক্ষ ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে যারা মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলেছে, কাজ পেয়েছে, কাজ করেছে এবং এখনো কাজ করে যাচ্ছে তারাই অ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সার।

বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (BFDS) এর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২ লক্ষ অ্যাক্টিভ বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যারা এখনো মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে এবং ডলার ইনকাম করছে।
উক্ত হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালে মোট ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে মাত্র ২৬.৬৭% অ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সার। অ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বাড়লে আমাদের ফ্রিল্যান্সিং এর সুযোগ সুবিধা গুলোও বাড়বে। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস জগতে, বাংলাদেশ বর্তমানে ৮ম বৃহত্তর দেশ। 


ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কমন কিছু কাজ ও সার্ভিসের ক্ষেত্রসমূহ 

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফলতা না পাওয়ার ৩টি প্রধান কারণ 


অনেকে অনেক ভাবে মার্কেটপ্লেসে কাজে নেমে যাচ্ছে, কিন্তু সফলতা পাচ্ছে না। এর প্রধান তিনটি কারণ হলো —

১. ফ্রিল্যান্সিং কে সহজ মনে করা এবং ধৈর্য না থাকা। 

মানুষ মনে করে "ফ্রিল্যান্সিং করা খুব সহজ। ১০ দিনেই শিখে, প্রথম মাস থেকেই লাখ লাখ টাকা কামাবো"। এরকম ধারণা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা সম্ভব না। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে একটি স্কিল শিখতে হবে, ধৈর্য ধরে মার্কেটে কাজ খুজতে হবে, এবং লেগে থাকতে থাকতে একসময় কাজ পাবেন অতঃপর সেখান থেকে ইনকাম হবে।


২. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোনো একটা স্কিল যথাযথভাবে না শেখা। 

বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররাই ইংরেজি যথাযথভাবে বুঝেন না। ক্লায়েন্ট কি বলছেন সেটা বুঝতে না পারার কারণেই অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সার কাজ পান না। 

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে হলে, অবশ্যই কোনো একটা কাজ করতে হয়। যে বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, সে বিষয়টি হাতে-কলমে না শিখে, এক্সপার্ট না হয়ে কাজ শুরু করলে, নিজের তো ক্ষতি হবেই, পাশাপাশি আপনি বাংলাদেশের অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের ও পরোক্ষভাবে ক্ষতি করলেন। 


৩. যথাযথ ভাবে কমিউনিকেশন করতে না পারা। 

ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো - মার্কেটপ্লেসে বা ক্লায়েন্টের সামনে নিজেকে যথাযথভাবে প্রেজেন্ট করতে না পারা। 

আবার, কিভাবে সহজে ক্লায়েন্ট ম্যানেজ করতে হয়, তা না জানার কারণে ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্ট হারায় এবং সবশেষে, একজন ব্যর্থ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিদায় নেয় এ জগত থেকে। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪